করোনায় সুদের টাকা দিতে না পারায় হোটেল ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

0

ঋণের সুদ দিতে না ঋণদাতা ও তার লোকজন থেকে মারধরের শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে এক হোটেল ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. হারুনুর রশিদ (৪৫)। বুধবার ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউনিয়নের ধলপুর এলাকার নিজ ভাড়া বাড়ি থেকে হারুনুর রশিদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার রাধাকান্তপুর গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। হারুনুর রশিদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধলপুর এলাকায় একটি কক্ষে ভাড়া থেকে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলপুর এলাকায় চড়া সুদে বিভিন্ন মানুষকে টাকা ধার দিয়ে মহাজনী ব্যবসা চালাচ্ছিলেন ফিরোজা বেগম নামে এক নারী। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এ নারীর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ হওয়ায় ঠিকমতো সুদের টাকা দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল তার। পাওনা টাকা দিতে না পারায় ফিরোজা বেগমের ছেলে সাকিল ও ভাই কামাল, জামাল, আফাজ এবং ভাতিজা মনির মিলে হারুনুর রশিদকে ব্যাপক মারধর করেন। এ মারধর এবং অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন হোটেল ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইউনুস বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বোঝা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।