বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জোটের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ৯ টায় চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে সোয়া ১১টায় শেষ হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দলের সঙ্গে বৈঠকে হওয়া তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে: ১. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে এককভাবে প্রার্থী দেবে ২০ দল। জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়া যার নাম ঘোষণা করবেন তাকে নিয়েই ২০ দল নির্বাচন করবে। তবে আলোচনায় তাবিথ আউয়ালের নামটাই বেশি।
২. এ মাসের মধ্যে আইনজীবী ও আলেম ওলামদের উদ্যোগে সমাবেশ করবে।
৩. বেগম জিয়াকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবে না।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা সভাপতি রেহানা প্রধান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুুইয়া, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামীক ঐক্যে জোটের আব্দুর রকিব, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আব্দুর কাদের, ন্যাপ ভাসানীর আজারুল ইসলাম, জমিয়তে ওলামা ইসলামের আবদুর রব ইউসুফী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মুনি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জোটের শরিক লেবার পার্টির মধ্যে নেতৃত্বের বিভক্তির কারণে মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও হামদুল্লাহ আল মেহেদীর কোনো পক্ষকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়েছিল। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলাম তার মহানগর উত্তরের সভাপতি সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।