চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগীদের দুর্ভোগ

0
চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগীদের দুর্ভোগ

বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি পূর্বঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছে। রবিবার সকালে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালসহ কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলাকালেই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে সংগঠনটি।

গতকাল দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলে বন্দরনগরীতে অচল হয়ে পড়ে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিএমএ চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিসনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর আগেই ধর্মঘট শুরু করে দেয় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। ২টার পর ধর্মঘট পুরোপুরি শুরু হলে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। নতুন করে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এইদিকে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে না পেরে সবাই ফিরে যায়। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীরা যায় সরকারি মেডিক্যালের দিকে। হঠাৎ ধর্মঘটে দিশাহারা হয়ে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আশায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারা।

বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. এম এ কাসেম ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এমনিতেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কারণে লোকসানে আছে। বিষয়টি আমরা প্রায় দুই মাস আগে সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনের সঙ্গে দেখা করে অবহিত করেছি। ওই ঘটনা (শিশু রাইফার মৃত্যু) নিয়ে আমরা গত শুক্রবার বৈঠক করেছি। এ রকম পরিস্থিতি (ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান) সৃষ্টি হলে ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আজ (রবিবার) সকালে ম্যাক্সসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে হয়রানি শুরু হলে আমরা বৈঠকে বসি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক চালানো সম্ভব নয়। তাই আমরা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাব ও চেম্বার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি।’