ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক চোরের ফেলে যাওয়া গরুর মালিকানা একাধিক ব্যক্তি দাবি করছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বুধবার গরু পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। ফলে এ নিয়ে এক অদ্ভুত বিপাকে পড়েছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। অবশেষে গরুগুলোর মালিকানা ঠিক করতে ঝিনাইদহ আদালতে প্রতিবেদন পাঠায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গরুর মালিকানা দাবি করা এই ৪ ব্যক্তির পরিচয় ও তাদের দাবি করা গরুর সংখ্যা হলো যথাক্রমে- কালীগঞ্জ পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ইমান আলীর তিনটি, মধুগঞ্জ পাড়ার মুন্নার একটি, ঢাকালে পাড়ার পারভেজ রহমান রচি একটি ও পৌরসভার পানির লাইনের কর্মচারী নুর ইসলাম একটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর রায়গ্রাম ইউনিয়নের দুলালমুন্দিয়া গ্রামে চোরেরা ছয়টি গরু ফেলে রেখে যায়। পরে বুধবার সকালে গ্রামে গরুগুলো দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী আটকে রেখে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। পরবর্তীতে তিনি এসে গরুগুলো থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনাক্রমে গরু পাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গরু দেখতে আসে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট চারজন ব্যক্তি গরুগুলোর মালিকানা দাবি করেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর মালিকানা নিশ্চিত করতে চেয়ে ঝিনাইদহ আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আদালত থেকে মালিকরা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে গরু গ্রহণ করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানায় পুলিশ।
গরুর দাবিদার নুর ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া গরুর মধ্যে তার একটি কালো রঙের ষাঁড় রয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় তার ষাঁড়। বুধবার থেকেই সে গরু পেতে থানায় ঘুরছে। গত বৃহস্পতিবার থানা থেকে জানিয়ে দেয় আদালত থেকে গরু নিতে হবে। এখন আদালতে যাবে বলেন নুর ইসলাম।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া গণমাধ্যমে জানান, চোরের ফেলে যাওয়া গরু উদ্ধারের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকেই মালিকানা দাবি করছে। অনেকে আবার নিজের গরু দাবি করে দেখতে আসছে। এতে পুলিশ গরুগুলোর প্রতিবেদন কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছে যাতে আদালত থেকে গরুর মালিক উপর্যুক্ত প্রমাণ দিয়ে গরু নিয়ে যেতে পারে।