কুমিল্লা জেলার হোমনা এলাকায় গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অত্র এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার ঘারমোরা বাজার এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কায়েস আকন্দ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনায় আহতরা হলেন- শাহ আলম, আলী আকবর, জিলানী, অজিত, মোমেন, শাহ আলম, রাজিব মিয়া, নজরুল মিয়া, সাব মিয়া ও কবির হোসেন। এদের মধ্যে শাহ আলম, আলী আকবর, সাব মিয়া, রাজিব মিয়া ও মোমেন গুরুতর আহত হন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড় ঘারমোরা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়ার গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পাশের গ্রামের রাসেল, ইমরান ও অন্তরসহ ৮-১০ যুবক অনুমতি না নিয়ে তাদের মোবাইল ফোনে কয়েকজন তরুণীর ছবি তোলেন। এ নিয়ে বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়াসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শনিবার সকালে আবদুল আউয়াল বড় ঘারমোরা গ্রামের বাজারে দুধ বিক্রি করতে গেলে হুজুরকান্দি গ্রামের যুবকরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন এবং দুধ ফেলে দেন। এ ঘটনায় আওয়ালের ভাই জাহাঙ্গীর আলম শনিবার রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রবিবার সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘারমোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা মিটমাট করতে আজ আমরা বাজারে বসেছিলাম। সেখানে হুজুরকান্দি ও ঘারমোরা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।