ছাত্রলীগকে থামান : প্রধানমন্ত্রীকে কাদের সিদ্দিকী

0
ছাত্রলীগকে থামান : প্রধানমন্ত্রীকে কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ছাত্রলীগের সমালোচনা করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি ছাত্রলীগকে থামান। এ ছাত্রলীগ দিয়ে গুণ্ডামি মাস্তানি করিয়ে আপনার ক্ষমতা দীর্ঘায়ু করতে পারবেন না। শক্তি দিয়ে কেউ কোনোদিন টিকে থাকতে পারে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে ছাত্রলীগ আগে ছিল জনসাধারণ ও ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার, সেই ছাত্রলীগ এখন গুণ্ডামিতে ব্যস্ত। তারা এখন হাতুড়ি নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। শিক্ষকরাও রক্ষা পাচ্ছে না এসব লাঞ্ছনা থেকে।

এ সময় কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে একটি কথা বলছেন, সেটা হলো ‘জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই।’ এটা তো গণতন্ত্রেরও কথা। এটা হলে তো জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এটাই চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এটা করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু তারা তো এটা করেন না। প্রধানমন্ত্রী এখন যে কথা বলছেন, ৫ জানুয়ারি তার লেশ মাত্র ছিল না এবং দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেয়া হয় এবং আইয়ুব খান যখন খুব কঠোর তখনও বিদেশ থেকে আশা আইনজীবীরা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লড়েছেন। আজ খালেদা জিয়ার জন্য বাইরের আইনজীবীরা কেন লড়তে পারবেন না। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মামলা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন কেন ভারত গিয়ে করতে হবে এটা আমি মানতে পারছি না।

তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে বি চৌধুরী হবেন ফ্রন্টের প্রধান আর সরকার প্রধান হবেন ড.কামাল হোসেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে বলেন, সত্তরোর্ধ্ব সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এতিমের টাকা চুরির অপরাধে কারাগারে রাখা যা এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, মন্ত্রীরা চোর। বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননার সোনা চুরি যাওয়া তার উজ্জ্বল প্রমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপদ ভল্ট থেকে টাকা পাচার, এমনকি ভল্ট থেকে সোনা চুরি, ডেসটিনি- হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ার কেলেঙ্কারি এসব ঘটনা উন্নয়নের গতি প্রকৃতিকে বাধাগ্রস্থ করছে। এ ছাড়া উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে।