সকল জল্পনা কল্পনার পর,ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হলেন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মহানায়ক এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে শপথ পাঠ করার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বারকে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম
তিনি যেহেতু সংসদ সদস্য নন, তাই তাঁকে মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে টেকনোক্র্যাট হিসেবে।
মন্ত্রণালয়টি এখন পর্যন্ত সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। মন্ত্রণালয়টিতে এখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে তারানা হালিম এবং জুনাইদ আহমেদ পলক।
জানা যায় মঙ্গলবার বঙ্গভবনে আয়োজিত মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই তিনি চলে গেছেন ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কার্যালয়ে। সেখানে সমিতির নেতারাসহ আইটি খাতের ব্যবসায়ীরা তাঁকে অভিবাদন ও শুভেচ্ছা জানান।
সেখানে তাঁর সঙ্গে আরোদেখা করতে আসেন টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার। এ সময় মন্ত্রী বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের খোঁজ করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যকে শপথ পড়ান। মোস্তাফা জব্বারসহ চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল কম্পিউটার ব্যবসায়ে প্রবেশ করেন। সেই বছরের ১৬ মে কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করেন বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার। সেটি প্রথমে মেকিন্টোস কম্পিউটার ও পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও বিজয় বাংলা কিবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা নিউজ সার্ভিস আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ বা আবাস এর চেয়ারম্যান ও সম্পাদক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কমিটির সদস্য তিনি। কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কাউন্সিল সদস্যও এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ।