শরীয়তপুর-চাঁদপুর নদী পথের আলুর বাজার ফেরিঘাটে যানজটে আটকা পড়েছে কুরবানির পশুবাহী প্রায় শতাধিক ট্রাক। প্রচন্ড গরমে দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় গরু মারা যাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গরুর ব্যাপারীরা লোকসান ঠেকাতে ঘাট এলাকায় অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে ঘাটে এমন ৩টি গরুর গোশত ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। গতকাল দুটি অসুস্থ গরুর গোস্ত ফেরিঘাটে বিক্রি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেরিঘাটের কাছাকাছি খায়েরপট্টি এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে যশোরের গবাদিপশুর ব্যবসায়ী নুরুল আলমের ৪টি গরুসহ একটি ট্রাক। শুক্রবার বিকেলে ফেরিঘাটের ট্রাক টার্মিনাল সড়কের মুখে ট্রাকটি এলে তার দুটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তিনি একটি গরু জবাই করেন। নুরুল আলম বলেন, পশুবোঝাই ট্রাকসহ তাকে আটকা থাকতে হয়েছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। খোলা সড়কে তীব্র গরমে ৩টি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ১টি গরু মারাও গেছে। ১টির অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক গরুটি জবাই করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রেতা ধরতে ২৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করেন।
আলুর বাজারের বাসিন্দা মো. মহসিন সরকার বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। নদীতে মাছ ধরে করে জীবন চালাই। বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেক। বাড়িতে নিতে পারি না। সস্তায় পেয়ে আজ এক কেজি কিনেছি। শুনেছি অসুস্থ গরু জবাই করেছে। সস্তা তো, তাই আর অত কিছু খোঁজ নিইনি।”
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আলুর বাজার ফেরিঘাটের ইজারাদার মো. জিতু মিয়া ব্যাপারী বলেন, কোরবানির জন্য বিক্রি করতে আনা গরু অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে ঘাটে ছুটে যান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাট এলাকায় অসুস্থ গরুর বিশ্রামের জন্য গাছের ছায়ায় খোলা জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। ব্যবসায়ীদের কয়েকটি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লোকসান এড়াতে কয়েকটি অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যাপারীরা এমন খবর শুনেছেন।