বাঁচা-মরার ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেন থিসারা পেরেরা। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে মিডল অর্ডারে ছোবল দিলেন লাকশান সান্দাকান। শেষটায় দ্রুত জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দিলেন নুয়ান প্রদিপ। বোলারদের নৈপুণ্যে হাতের নাগালে লক্ষ্য পেল শ্রীলঙ্কা।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে ১৯৯ রান চাই লঙ্কানদের। এই ম্যাচ জিতলেই দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে জিম্বাবুয়ের।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভার বাকি থাকতে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো দুইশ রানের আগে অলআউট হল দলটি।
৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমন মিরে। পরপর তিন ওভারে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে খেলার চিত্রটা পাল্টে দেন থিসারা।
গুড লেংথ বল পুল করতে গিয়ে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে মাসাকাদজার বিদায়ে ভাঙে শুরুর জুটি। পরের ওভারে বাজে শট খেলে থারাঙ্গার হাতে ধরা পড়েন ক্রেইগ আরভিন। শর্ট বল পুল করতে গিয়ে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসে ধরা পড়েন ওপেনার মিরে।
অলরাউন্ডার ভানিদু হাসারাঙ্গার জায়গায় দলে ফেরা চায়নাম্যান সান্দকান দ্রুত ফেরান ছন্দে থাকা সিকান্দার রাজাকে। স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাতে বড় অবদান আছে কুসল মেন্ডিসেরও। ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়ে টেইলর-ম্যালকম ওয়ালারের ব্যাটে।
৬৬ রানের জুটিও ভাঙেন সান্দকান। তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিকভেলার গ্লাভসবন্দি হন দুটি চারে ২৪ রান করা ওয়ালার। কোনো বল খেলার আগেই রান আউট হয়ে ফিরেন পিটার মুর।
বোলিংয়ে ফিরে আবার শর্ট বলে সাফল্য পান থিসারা। জায়গা করে নিয়ে হুক করতে চেয়েছিলেন টেইলর। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ চলে যায় লংলেগে। ৬টি চারে ৫৮ রান করে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
৭ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে দুইশ রানের আগেই থামিয়ে দেন প্রদিপ। এই পেসার শুরু করেন ৩৪ রান করা ক্রিমারকে বোল্ড করে। পরের ওভারে চার বলের মধ্যে বোল্ড করেন কাইল জার্ভিস ও ব্লেজিং মুজরাবানিকে।
৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার অলরাউন্ডার থিসারা। প্রদিপ ৩ উইকেট নেন ২৮ রানে। সান্দাকান ৫৭ রানে নেন দুই উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৪ ওভারে ১৯৮ (মাসাকদজা ২০, মিরে ২১, আরভিন ২, টেইলর ৫৮, রাজা ৯, ওয়ালার ২৪, মুর ০, ক্রিমার ৩৪, জার্ভিস ৫, চাতারা ২*, মুজারাবানি ০; লাকমল ০/২৩, প্রদিপ ৩/২৮, থিসারা ৪/৩৩, দনঞ্জয়া ০/৪৫, সান্দাকান ২/৫৭, গুনারত্নে ০/৪)