দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত বড়থলি ইউনিয়ন এলাকায় হেলিকপ্টার যোগে আবারও করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যাচ্ছেন রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা। তাদের সঙ্গে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীও থাকছেন।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ এলাকার হেলিপ্যাড থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে তারা রওনা হয়েছেন।
ইতোপূর্বে ইউএনও মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ আগস্ট আমরা দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ওই এলাকায় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, গণটিকার প্রথম ডোজ গ্রহণে ওই এলাকার জনগণের যে উৎসাহ আমরা দেখেছি, তা আমাদেরকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে।
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা গণমাধ্নমাধকে জানান, ১০ আগস্ট আমরা ওই এলাকায় মোট ২৯২ জনকে সিনোফার্মা টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছিলাম। একই সঙ্গে ওইদিন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা ও ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ২৯২ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ট্রাইবেল হেলথ কর্মসূচির আওতায় মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হবে।
বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে এই ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে ৪ দিন সময় লেগে যায়। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতেও লেগে যায় ২ দিন। তাই ১০ আগস্ট গণটিকার প্রথম ডোজ হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা।