ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রকাশ্যে লাঠিপেটা

0
ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রকাশ্যে লাঠিপেটা

কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেওয়ায় এক কিশোরী ও তার পরিবারকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন।

শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন-দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামের মৃত. আলী হোসেন মুন্সির ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৬৮) ও মো. মোস্তফা কামাল (৬১) এবং ওই এলাকার মো. কাউছারের স্ত্রী নার্গিস (৩০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২৪ মে বিকেল ৩টায় ওই কিশোরীকে একটি ফাকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালান হাসান। এ ঘটনা হাসানের চাচি দেখে ফেলেন এবং স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরদিন সকালে ওই কিশোরীর বাবা মো. জামাল হোসেন কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে হাসানের পরিবার।

পরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় মামলা তুলে নিতে ওই কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেওয়া শুরু করে হাসানের পরিবার। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় প্রথমে ওই কিশোরীর বাবাকে এবং পরে কিশোরীকে প্রচুর মারধর করেন হাসানের পরিবারের লোকজন। গত ২০ আগস্ট দুপুরে হাসানের বড়ভাই কাউছার কিশোরীর মাকে রাস্তায় পেয়ে প্রকাশ্যে লাঠিপেঠা করেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক যুবক ফেসবুকে ভিভিওটি পোস্ট করলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এতে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সব মহলে।

৩২ সেকেন্ডর ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষণচেষ্টার মামলার আসামি মো. হাসানের বড়ভাই কাউছার আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করছেন। এ সময় তাকে স্থানীয় কয়েকজন থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে ওই কিশারীর মা অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় আবারও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় হাসানের ভাই নুরুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল এবং একই বাড়ির কাউছারের স্ত্রী নার্গিসকে গ্রেফতার করে প্রশাসন।
Attachments area