বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রথম চুক্তি সই করেছে। দেশের প্রথম এই স্যাটেলাইট আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিক সেবা দেবে। ব্যবহার ফি হবে বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহারের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী।
আজ রবিবার বিকেলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ এবং বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বলা হয়েছিল এটা দেশের কোনো কাজে আসবে না। আবার বলা হয়েছিল, এটার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে, টাকা নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু আজ এই চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগের টাকা ফেরত আসার পথ চালু হলো। আমার জানা মতে আট বছরে এই স্যাটেলাইটের বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরই গুজব রটানো হয়েছিলো উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাষ্ট্রের টাকায় উৎক্ষেপণ করা এই স্যাটেলাইটের মালিকানা দুজন বিশেষ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে- দেশের মানুষের রক্ত পানি করে দেওয়া করের টাকায় উৎক্ষেপিত স্যাটেলাইটের মালিক এদেশের জননগণই আছেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার জানান, দেশের ৯০ হাজার নৌযান ও প্রতিবছর বাংলাদেশে আসা চার হাজার জাহাজ এই সেবার আওতায় আসবে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ নদী ও সমুদ্রপথে চলমান জাহাজে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ সেবা না থাকায় সেখানে টেলিফোন, ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও টেলিযোগাযোগের অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।
এই চুক্তির মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার অধীনস্থ বন্দর, ফেরিঘাট, জাহাজ ও অন্যান্য স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হবে। এর ফলে জাহাজগুলো স্থলভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ ও টেলিভিশন প্রদর্শন করতে পারবে।