চলতি মাসে (এপ্রিলে) কমনওয়েলথ হেড অব গভর্নমেন্ট মিটিংয়ে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যাবেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বৈঠক হতে পারে। ভারতের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই জাতীয় নির্বাচন কড়া নাড়ছে। চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে এবং ২০১৯ সালের প্রথম দিকেই ভারতের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ওই সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে একটি বৈঠকের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিমস্টেক-এর নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা এসেছিলেন। এখন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের আরও বেশি আস্থা অর্জন করাকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত। সাংস্কৃতিক দৌত্যের মাধ্যমে ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতির দিকেও জোর দেয়া হচ্ছে। এ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে ঢাকা আসছেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।
লন্ডনের বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, লন্ডনে বৈঠক হলে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনো পাকা কথা দেয়া সম্ভব হবে না মোদির পক্ষে। সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও আরও অনেকগুলো দিক রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত পাশে রয়েছে। যে কাজগুলো ইতোমধ্যেই চলছে তার পাশাপাশি নতুন কোনো ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন মোদি ও শেখ হাসিনা।
এছাড়া কথা হবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও। কট্টর মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসের মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তিস্তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হবে বলে বলা হয়েছে।