গত ৩০ মে মাঝিরা ট্রলারটি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় মাছ ধরতে যায়। গত ১২ জুন সেটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে করে ২১ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের সোনারচর এলাকায় ট্রলার ডুবে ২১ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হয়েছেন। তারা অধিকাংশই বাঁশখালীর বাসিন্দা।
সোমবার ট্রলার মালিক বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের বহদ্দারহাট জলদাশ পাড়ার হরিধর জলদাশ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, তার মালিকানাধীন এফবি সুর্য্যমুখি ফিশিং ট্রলারটি গভীর সাগরের সোনারচর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে। এই ঘটনায় বাঁশখালীর পুইঁছড়ির জেলেপাড়ায় নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম অন্য ট্রলারে কাজ করা প্রত্যক্ষদর্শী জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় কবলে পড়ে এফভি সুর্য্যমুখি। এরপর ট্রলারটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা আর কেউ জানে না।
নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিপদের আশঙ্কা জেনেও কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি মালিক পক্ষ। শুধু তাই নয়, ১২ তারিখের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার তথ্য জানিয়ে বোট মালিক বাঁশখালী থানায় জিডি করেছেন ১৪ জুন। এতে করে নিখোঁজ মাঝিমাল্লা ও জেলেদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নিখোঁজ হওয়া জেলে ও মাঝিমাল্লারা হলেন রাজহরি জলদাস (৫০), দধি গোপাল জলদাস (৫১), লিটন কান্ত্মি জলদাস (৩৬), বুলবুল জলদাস (৪৫), সুবল জলদাস (৩৮), সৌরভ জলদাস (৪১), জয়রাম জলদাস (৩৬), অনিল কুমার দাস (৪৬), কর্ণ জলদাস (৪০), বিমল জলদাস (৪৬), উপেন্দ্র লাল দাস (৭০), ব্রহ্মা পদদাস (৫১), সজল কান্ত্মি দাস (৪২), নিরঞ্জন দাস (৪৮), বুলবুল দাস (৪৬), মদন দাস (৩৮), লিটন কৈবর্ত (৩৮), জিয়া জলদাস (৩৫) এবং ফিশিং বোটের মাঝি অন্ন কৈবর্ত (৩৮)। এর মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। এছাড়া নিখোঁজের মধ্যে চকরিয়া, কুতুবদিয়া উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর জেলার একজন করে রয়েছেন।
এইদিকে বাঁশখালী থানা পুলিশ সুত্র জানায়, সাধারণ ডায়রির পর তাৎক্ষণিকভাবে উপকূলবর্তী সব থানা, কোস্টগার্ড এবং প্রশাসনকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী বোট ও জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি দেরিতে অবহিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টায় ত্রুটি নেই।