বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে দেশবাসীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাঙালিসহ সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে বাঙালির জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি কামনা করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরে বাঙালির জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে- এমন প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যকে আরও সুসংহত করবে। সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য আনন্দের বারতা বয়ে আনুক এ প্রত্যাশা করি।’
‘প্রবাসী বাঙালিরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নববর্ষ উদযাপন করেন, যা এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে; যা আজ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ স্বীকৃতি আমাদের অসাম্প্রদায়িক অবস্থানকে আরও সমুন্নত করবে।
এদিকে পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের ব্যত্যয় এবং গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার।
বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিগত বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রভূত।