জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে “বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। শত সংকটেও তিনি আস্থা ও বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। এছাড়া তিনি দলের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতাকর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা যুগিয়েছেন এবং অনেককে সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করেছেন। বিশ্বের অনন্য অনুসরণীয় নারী হচ্ছেন বঙ্গমাতা। বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গমাতার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে সহধর্মিণী ও সহযাত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পরই বঙ্গমাতার অবদান উল্লেখযোগ্য।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় সবাই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা জানি। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর উপর স্বাধীনতা ঘোষণার একটি চাপ ছিল, অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের কড়া দৃষ্টি ছিল। অথচ বঙ্গবন্ধু তখন স্বাধীনতার ডাক দিলে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত হতেন। ৭ মার্চের দিন অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। জনসভায় যাওয়ার আগে বঙ্গমাতার পরামার্শ চাইলেন। বঙ্গমাতা বললেন, তুমি সারাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছো। মন থেকে যা বলতে ইচ্ছা করে- তাই বলবে। তার পরামর্শের যথার্থ প্রতিফলন দেখা যায় ঐতিহাসিক এ ভাষণে। বঙ্গমাতা উল্লিখিত দু’টি ঘটনায় প্রত্যক্ষ অবদান যদি না রাখতেন, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে অবদান- সেখানে বঙ্গমাতার সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।