তিনি কষ্ট বুকে নিয়ে মরেই গেলেন অথচ ‘ বীর প্রতীক ‘ হিসেবে গেজেটভুক্ত হননি এখনো ! ১৯ বছর ধরে নাকি কি সব আইনি জটিলতায় ঝুলে আছে ! উনি যখন ২০১৫ সালে একবার অসুস্হ হন তখনো ওনার একমাত্র মেয়ে সখিনা আবেদন জানিয়েছিলেন কাঁকন বিবির শেষ ইচ্ছা – বেঁচে থাকতে যেনো তিনি নিজের নামের আগে ‘বীরপ্রতীক’ শব্দটা অন্তত একটু দেখে যেতে পারেন, কিন্তু এটা সম্ভব হয়নি ! অথচ নতুন নূতন মুক্তিযোদ্ধা গজাচ্ছে ৭১ এ যাদের বয়সই হয়নাই যুদ্ধ কি বুঝতে!
কাঁকন বিবি একাধারে পাক বাহিনী দ্বারা চরম নির্যাতিত একজন দূর্ধর্ষ গুপ্তচর যাকে ইতিহাস খ্যাত গুপ্তচর মাতা হারির সাথে তুলনা করা হয়! সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহনকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, যিনি বুলেটের ক্ষত বয়ে বেরিয়েছেন শেষদিন পর্যন্ত । দেশ স্বাধীনের পরও এই মুক্তিযোদ্ধা থাকতেন কুড়ে ঘরে!
আচ্ছা! সত্যিকারের যোদ্ধারা কি কোটাধারী হননা ?