ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন বড়দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট-এর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সকল চার্চ ছাড়াও কূটনৈতিক জোন, হোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ২৪ থেকে ২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য। এদের সহায়তার জন্য আনসার-বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
বড় চার্চগুলোতে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ডিএমপি ও র্যাব আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে এবং ইভটিজারদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ সেবা চালু থাকবে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ঢাকা শহরের সকল বার বন্ধ থাকবে এবং পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রও কেউ বহন করতে পারবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। বহিরাগত প্রবেশ আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব।’