মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন, সংগ্রহ করা হয়েছে টিস্যুর নমুনা।

0

মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপ্রচার সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত টিস্যু খুব দ্রুত ই পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, “মুক্তামনি এখন ভালো আছে। তাকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বিকালের মধ্যেয় কেবিনে দেবো”
মুক্তামনি

আরো জানা যায় অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। অপারেশশের পুরো প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান. ডা. লতা। আর অ্যানেসিথেশিয়ার বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অপারেশনে বেশ ঝুঁকি আছে। আজ অপারেশনের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার্ন ইউনিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের কোনও সমস্যা বা জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। সফলভাবে আমরা টিস্যু কালেক্ট করতে পেরেছি। সমস্যা যাতে না হয় এজন্য অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর হোসেন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর মুক্তমনির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সোমবার (৭ আগস্ট) আমরা আবার বসবো। এরপর পরবর্তী করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।”

বায়োপসি রিপোর্ট আসা এবং সোমবার আলোচনায় বসা নিয়ে জানতে চাইলে ডা. তানভীর আহমেদ জানান, “বায়োপসি রিপোর্ট আসতে সাধারণত ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। তবে এটা যেহেতু বিশেষ কেস তাই নির্ধারিত সময়ের আগে চলে আসতে পারে। এমনিতেই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বসবো। এর মধ্যে বায়োপসি রিপোর্ট এসে গেলে তা হবে বিশেষ সুবিধা।”

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয় বলে জানা গেছে। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন নামক বিরল রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার ও চিকিৎসকদের পক্ষ জানানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে