এক মুসলিম যুবক চাকরি করতো অস্ট্রেলিয়ার এক ইহুদী ব্যবসায়ীর অধীনে। ইহুদী ব্যবসায়ী কখনোই তাকে বেতনের সম্পূর্ন টাকা দিতোনা। এভাবে তার পাওনা টাকার পরিমান অনেক বেড়ে গেলো। যুবক একদিন টাকার জন্য চাপ দিতে ইহুদী তাকে চাকরীচ্যুত করে দিলো, টাকাতো দিলোই না। দিশেহারা যুবক তখন স্থানীয় ইহুদী ধর্মগুরুর কাছে বিচারের জন্য গেলো। গুরু সবকথা শুনে অনেক আফসোস করলেন এবং একটি চিরিকুট লিখে দিলো। বললো এই চিরিকুট নিয়ে তুমি তোমার মালিকের কাছে যাও, আশাকরি চাকরি এবং টাকা দুটোই ফিরে পাবে। যুবক হিব্রু ভাষা পারেনা, তাই পড়তে পারলোনা চিরিকুটে কি আছে। কিন্ত এই চিরিকুট হাতে পেয়েই ইহুদী ব্যবসায়ী তার সব টাকা দিয়ে দিলো, ক্ষমা চাইলো, চাকরিতে পুনর্বহাল করলো। আপনারা জানেন চিরকুটে কি লিখা ছিলো?
লিখা ছিলো- “তুমি কি মুসলমান হয়ে গেছো?”
ইহুদী জাতি পৃথিবীতে যে সকল রাষ্ট্রসমূহের উপর অসামান্য প্রভাব ও প্রভুত্ব বিস্তার করেছে – তাদের একটি “ অষ্ট্রেলিয়া ” । এই দেশটিতে বসবাসরত ইহুদিরা নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের যে সংগঠন সৃষ্টি করে – তার সর্বনিম্ন সংগঠনকে তারা বলে ‘স্টেইট’। প্রতিটি স্টেইটে বসবাসকারী ইহদিরা তাদের মাসিক আয়ের ৫% অংশ অত্যাবশ্যকীয়ভাবে “স্টেইট” নিকট জমা রাখে। তবে সচরাচর অধিক আয় সম্পন্নরা বাধ্যতামূলক এই দানের বাইরেও অর্থায়ন করে থাকেন। এই অর্থ সরাসরি বিশ্বজোড়া জায়নবাদী প্রচার ও পরিকল্পনা চরিতার্থকরণের জন্য ব্যয় হয়। এই অর্থ ইসরাইল রাষ্ট্রের সংহতিকরণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যয় হয়। এভাবে দীর্ঘদিনের সাধনায় আজ তারা এমন একটি অবস্থানে এসেছে যে বিশ্বের তথ্য, সম্পদ, যুদ্ধ, অর্থনীতি, ইত্যাদি সবই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। খোদ আমেরিকা একটি ক্ষুদ্র ইসরাইল রাষ্ট্রের বাধ্যতার দাস। এটা হলো কোরআনের ফর্মূলায় মুসলমানদের উপর ধার্য্য “জাহাদু বি আমওয়ালি” – এর প্রতি পূর্ণ মান্যতা; তারা কোরাআনের ফর্মূলাকে নিজেদের ফর্মূলা করে নিয়েছে। পাশাপাশি “জাহাদু বি নাফসি” বা ধর্মের জন্য ব্যক্তির সেবাকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রেও তারা অগ্রগামী। ১৫ মিলিয়ন ইহুদি – ১৫ মিলিয়ন সৈনিক ও যোদ্ধা। কিন্তু কতটা চমৎকার পদ্ধতিতে তারা “ওয়া’তাছিমু বি হাবলিল্লাহি জামিআ” এই নীতিটিকে অবলম্বন করছে তার একটি চিত্র আমরা প্রদর্শন করতে পারি।
সাধারণতঃ ওরা চাকুরির চাইতে ব্যবসার প্রতি বেশী আকর্ষণ বোধ করে। যখনই ‘স্টেইটে’ নতুন কোন ইহুদি ব্যবসা/দোকান খোলে, তখনই ‘স্টেইট’ হতে তার সমস্ত অধিবাসীগণের জন্য এটি ধার্য হয়ে যায় যে, এই নতুন ব্যবসায়ী যে নতুন ব্যবসা শুরু করেছে, ৩ মাসের জন্য প্রত্যেক ইহুদি নাগরিক ন্যুনতম ২০০ ডলারের পণ্য কিংবা সেবা ক্রয় করবে বাধ্যতামূলকভাবে। এই বাধ্যবাধকতা প্রসূত ‘খরিদ’ নতুন ইহুদি ব্যবসায়ীকে শুরু করার মুহূর্ত হতেই একটি সাবলীল সমর্থন ও শক্তি যোগায়; পরবর্তীতে যা তাকে সফল ব্যবসায়ী হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে সাহায্য করে। ইন্নাল মু’মিণীনা ইখওয়াতুন, ফা আছলিহু বাইনা আখাওয়াইকুম (মুমিন পরষ্পরের ভাই- একে অপরের কল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হও) , এই ফর্মূলাটি এ যুগের কোনো মুসলমান মান্য করেনি, ইহুদিরা পরিপূর্ণভাবে মান্য করে চলছে। “ আর যারা এই পথ প্রদর্শনকে মান্য করে চলবে- তাদের ভয় নেই, তারা দুঃখিত হবে না ” (২:৩৮) । ইহুদি জাতি এই পথ প্রদর্শন মান্য করে চলছে। তারা আজ ভীত নয়; দুঃখিতও নয়। বলা বাহুল্য যে, বর্ণিত ‘স্টেইট’ এর এক হাজার ইহুদি যদি ৩ মাসে সেই নব্য ব্যবসায়ীর নিকট হতে ১০০০ x ২০০ = ২ লাখ ডলারের ব্যবসা পেয়ে যায়, যা নিশ্চিত, তা অস্ট্রেলিয়ায় পরবর্তীতে তার টিকে যাবার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
ব্যক্তি ও সামষ্টিক সমাজে ইহুদীরা কোরআনের নির্দেশ মান্য করে চলে। তাই প্রতিশ্রুতি অনুসারে তারা ভীতির শিকার নয় এবং তারা দুঃখিতও নয়। কাফির হয়েও তারা কোরআনকে বা কোরআনের নীতিকে তাদের কল্যানে ব্যবহার করেছে।
এর বিপরীতে যদি মুসলমানদের নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা শুরু করেন তবে জাতি হিসাবে মুসলিম অনেক কিছু হলেও চরিত্রের দিক দিয়ে অধঃপতনের চরম সীমায় পৌছে গেছে। পবিত্র কুরআনে একজন মুসলিমের যেসকল মৌলিক মানবীয় গুণ, চারিত্রিক উচ্চতা, নৈতিক ভিত্তি থাকার কথা বলা হয়েছে তার উপস্থিতি আজ হাতে গোনা কিছুমাত্র পাওয়া যাবে। মুসলিম ব্যক্তিগত ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে এখনো পারছে কিন্তু মুসলিম জাতি আজ আল্লাহকে খুশি করার মতো কোন কাজই করতে পারছে না। কুরআনের মাধ্যমে যদি আল্লাহ মুসলিম জাতির কাছে প্রশ্ন ছুড়েদেন ” কেন আমি মুসলিম জাতিকে হেফাজত করবো” তাহলে জবাব কি? আজ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল অমুসলিম জাতি ঐক্যবদ্ধ, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু কি কি গুণ থাকলে আল্লাহ কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ী করেন তার জ্ঞান বা গুণ কি মুসলমানদের আছে, না চর্চা করে!?
এই পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি, ১৪৫০ বছর ধরে ধীরেধীরে সৃষ্টি আজকের এই দুরাবস্থা। মুসলমান এক সুগভীর ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে আজ এই অধঃপতনে এসেছে।
১৩শ শতকের দিকে ক্রসেডের আক্রমনের অংশ আজকের মুসলমানদের তার ইমানি শক্তি, জ্ঞানের শক্তি, সততার শক্তি, আত্নবিশ্বাস, সাহসিকতাকে নির্মুলে মূল ভূমিকা রেখেছে। ক্রসেডাররা চেয়েছিলো মুসলমানদের জাতিগতভাবে ধ্বংস করার জন্য তারা কুরআনে উল্লেখিত শয়তানের ফর্মুলা ব্যবহার করবে, আর এটা জাতে মুসলিম জাতি প্রতিরোধ করতে না পারে সেজন্য তাদের কোরাআন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
ফর্মুলাটি হলো -শয়তান ঘোষণা করে “আমি (হামলা করার জন্য) এদের (মানব জাতির) সামনে থেকে আসবো, পিছন থেকে আসবো, ডান দিক থেকে আসবো, বাম দিক থেকে আসবো।“ (সূরা আরাফঃ ১৭)
তারা কিভাবে শুরু করেছিলো এই প্রক্রিয়া?
এটা তারা শুরু করে ইহুদী জাতিকে মুসলমানদের মাথার উপর চাপিয়ে দিয়ে। হাজার হাজার বছর আগ থেকে এটা পরীক্ষিত যে ইহুদী একটি বেয়াদব, অমানবিক, বিশ্বাসঘাতক জাতি। শুধুমাত্র অগ্রসরমান ইহুদী সাম্রাজ্য গঠনকে সমর্থন করে এমন মানুষ ছাড়া ইহুদিদেরকেও এরা শান্তিতে থাকতে দেয়না। উগ্রতা ইহুদীদের প্রধান গুণ। তাই খ্রিষ্টানদের জন্য ইহুদীকে ব্যবহার করে মুসলিম জাতিকে আজীবন বিপদ্গ্রস্থ রাখাটা ছিলো একটা ঘৃণ্য কৌশল।
তাই ব্রিটিশরা দীর্ঘ একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করে ১৯১৭-১৯৪৮ এই দীর্ঘ ৩১ বছর সময় ধরে ব্রিটিশরা ইহুদীদের এনে ফিলিস্তিনে রাখে। ইহুদি সম্প্রদায় বা জুইশ কমিউনিটির ইতিহাস প্রায় ৩০০০ হাজার বছরের পুরনো। পৃথিবীর ইতিহাস টেনে আনলে দেখা যায়, ইহুদিরা হলো সবচেয়ে অত্যাচারিত সম্প্রদায়, যাদের উপর শুধু বছরের পর বছর, শতশত বছর ধরে অত্যাচার করা হয়েছে। একটি নির্যাতিত ও অত্যাচারিত সম্প্রদায় কিভাবে নিজেরাই অত্যাচারী হয়ে উঠল সে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ও প্রসঙ্গে যেতে চাইনা।
ইহুদীরা যেহেতু তাড়া খেত বেশী সেহেতু তারা যাযাবর জীবনে স্থায়ী কাজের চেয়ে বুদ্ধিনির্ভর ও কম শারীরিক পরিশ্রমের কাজ বেছে নেয়। ব্যবসার প্রতি কৃশ্চিয়ানদের অনিহা তাদের সামনে বড় সুযোগ এনে দেয়। তাদের বসবাসের পরিবেশ ছিল খুব খারাপ। ভালো খাবার দাবারও ছিল না। ফলে তারা এমন কাজে আত্মনিয়োগ করে যেখানে বুদ্ধির চর্চা বেশী। ব্যবসা, টাকাপয়সা, লেনদেন, দালালি – এসব কাজে তারা এগিয়ে যায় বেচে থাকার সহজাত প্রবৃত্তির জন্য। ইহুদী সম্প্রদায়কে ইউরোপে কিভাবে দেখা হতো তার বড় উদাহরণ হতে পারে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের “ মার্চেন্ট অব ভেনিস “ নাটকের শাইলক চরিত্রটি। যে শরীরের মাংশ কেটে তার পাওনা আদায়ের দাবী জানায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন সমাজের প্রেক্ষাপটে নিয়ে লেখা রাশিয়ান লেখক নিকোলাই গোগল তার তারাস বুলবা উপন্যাসে আরেক ইহুদী সুযোগ সন্ধানী চরিত্র ইয়ানকেল-কে সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন তাদের সম্পর্কে তখনকার শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব। ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত তাড়া খেয়ে তাড়া মিডল ইস্টে ঢুকতে থাকে। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান একটি চালও ছিলো। কৃশ্চিয়ানরা যেহেতু ইহুদীদের পছন্দ করতো না তাই তারাও চাচ্ছিল মুসলমানদের এলাকায় তাদের ঢুকিয়ে দিতে। আর প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে যাযাবর জীবনের অবসানও চাচ্ছিলো ইহুদীরা। এতোগুলো বছর তাদের ঐক্য ধরে রাখার বড়া শক্তি ছিল ধর্ম। বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়লেও ইহুদী সম্প্রদায়ের সব সময় স্বপ্ন ছিল তারা তাদের নিজ দেশ ইসরাইলে ফিরে যাবে যদিও তখনো এর কোনো ভৌগলিক অস্তিত্ব ছিল না। ইসরেল তাদের মাতৃভূমি ও ধর্মভূমিই শুধু নয়, তাদের স্বপ্ন ভূমিও বটে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বপ্ন দেখেছে ইসরেল নামের দেশের। নেক্সট ইয়ার ইন জেরুজালেম – এই শ্লোগান মাথায় রেখে বহু ইহুদী মারা গিয়েছে। ইসরেলের জন্য তারা সাধ্যমতো দান করেছে, ধর্ম ও বিশ্বাস দিয়ে নিজেদের এক করে রেখেছে। সংখ্যায় অত্যন্ত কম হওয়ার পরও ক্ষুরধার বুদ্ধি, কৌশল ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিজেদের বসিয়েছে। কোনো মেধাবী ইহুদী ছাত্র বা ছাত্রীর পড়াশুনার জন্য চিন্তা করতে হয় না। এখনো বহু ওয়েব সাইটে এদের জন্য দান গ্রহণ করা হয়। তারা প্রধানতঃ মাতৃতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখে। কমিউনিটির কেউ বিপদে পড়লে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এমন অনেক ওয়েব সাইট আছে যেখানে ইহুদি পরিবারগুলোর বংশলতিকা বা ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করতে সাহায্য করে।
তো যখন ইহুদী ইসরাইলে ঢুকলো আর তাদের সমর্থনে রইলো ইউরোপ তখন মুসলমানদের সম্মিলিত প্রতিরোধের অভাবে আজ মুসলমান পরিনত হয়েছে গিনিপিগে। গিনিপিগ হ’ল ছোট কান বিশিষ্ট বড় ইদুর জাতীয় একটি প্রাণী, যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রয়োজনে যবহ করে কেঁটে-ছেটে ইচ্ছামত ব্যবহার করা হয়। অত্যাচারী শাসকরা যখনই কাউকে তাদের স্বার্থের বিরোধী মনে করে, তখনই তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অত্যাচারের খড়গ চালিয়ে তাকে শেষ করে দেয় বা শেষ করে দেবার চেষ্টা করে। এই নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টিকেই বলা হয় ‘গিনিপিগ’। এটি এখন আধুনিক রাজনীতির নোংরা পরিভাষায় পরিণত হয়েছে। কখন কাকে যে গিনিপিগ বানানো হবে, কেউ তা ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারে না। অথচ পরে সরকারী অপপ্রচারের মাধ্যমে দেখা যায় ঐ ব্যক্তি বা দল ‘জিরো থেকে হিরো’-তে পরিণত হয়েছে। বিগত যুগে নমরূদ ও ফেরাঊনরা নবী ইবরাহীম ও মূসা (আ.)-কে নিয়ে এবং সবশেষে মক্কার কুরায়েশ নেতারা শেষনবী মুহাম্মাদ (ছা.)-কে নিয়ে যে গিনিপিগ রাজনীতি করেছিল, আধুনিক যুগে তার অসংখ্য নযীর রয়েছে সভ্যতাগর্বী দেশগুলিতে। মাঝখান দিয়ে এতিমখানা, মক্তবপড়া, ইমাম মুয়াজ্জিন হেফাজতে ইসলামে এসে সরকারের গিনিপিগ হলো। মধ্যপ্রাচ্যের তৈলসমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলির উপর ছড়ি ঘুরানোর জন্য গত শতাব্দীতে ফিলিস্তীনী মুসলমানদের গিনিপিগ বানানো হয় ও তাদেরকে ভিটেছাড়া করে সেখানে সারা দুনিয়া থেকে ইহুদীদের এনে বসিয়ে দিয়ে ১৯৪৮ সালে ‘ইসরাঈল’ নামক একটি ইহুদী রাষ্ট্রের পত্তন দেওয়া হয়। অতঃপর ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলার অজুহাত তৈরীর জন্য ২০০১ সালে ৯ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ধ্বংস করে কথিত ‘টুইন টাওয়ার ট্রাজেডী’ মঞ্চায়িত করা হয়। যার ফলে আজও ইরাক ও আফগানিস্তানে রক্ত ঝরছে। সেই সাথে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ও ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম বলে শত শত মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তাহলে এখন উপায় কি মুসলমানদের?
কিভাবে মুসলমান জাতি ইহুদী খৃষ্টান ষড়যন্ত্রর জাল থেকে নিজেদের মুক্ত করবে? অনেক রকম কৌশল মুসলমান জাতির মাথায় আসে। অনেক পরামর্শ পরিকল্পনা পদ্ধতি ইমানদার মুসলমানদের মনে উকি দেয়। চিন্তা করেকরে রাত পার করে মুসলমান সকালে উঠেই এমনভাবে দিন শুরু করে যেন কিছুই হয়নি। কারন মুসলিম জাতির নেতৃস্থানীয় যারা আছে সব মোনাফেক। তারা নিজেদের আরাম আয়েশ ধরে রাখতে ইমানদারদের কোরানের সেইসব হুকুমকে পালনে অনীহা তৈরি করে রেখেছে যা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায়। তারা নিজেরা যেমন কোরানের সুবিধাজনক অংশ পালন করছে তেমনি জাতিকেও প্রতিরোধের পরিবর্তে পিছু হটা শেখাচ্ছে। আজ এটা প্রমানিত ইহুদী মুসলিম জাতিকে গ্রাস করতে চায় কিন্তু তারপরও জাতীয় ঐক্যে মুসলিম নেতৃত্ব এক হতে পারেনা। হিটলার বুঝেছিলো ইহুদী কি কিন্তু মুসলমান অনুধাবন করতে পারেনা। হিটলার বলেছিল- “চাইলে পুরো ইহুদী জাতি শেষ করে দিতে পারি কিন্তু কিছু বাচিয়ে রাখলাম। কারণ যাতে মানুষ বুঝতে পারে কেন ইহুদী হত্যা করেছি”। প্রকৃত মুসলমান কখনোই কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর অন্যায়ভাবে হামলা করে না। তবে কেউ অন্যায়াচরণ করলে তার প্রতিরোধ করার অধিকার সবার আছে।
লেখকঃ সাইফুল ইসলাম