সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির নাগরিকদের নতুন করে লেবানন সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স।
এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে লেবাননে সৌদি ভ্রমণ সতর্কতার অংশ হিসেবে। সৌদি আরবের সরকারি সংবাদমাধ্যম এসপিএ এজেন্সিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, লেবাননের এমন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশটিতে সফররত বা বসবাসরত নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটিতে আয়োজিত কোনো আন্তর্জাতিক আয়োজনেও সৌদি নাগরিকদের অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সৌদি রাজ পরিবারে ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন সৌদি আরবে সফররত লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি। টেলিভিশনের সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভাষণে আল-হারিরি জানান, ইরান ও দেশটির লেবাননি মিত্র হিজবুল্লাহ তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আল-হারিরি বলেন, আমরা এমন অবস্থায় বাস করছি যেখানে এর আগেও গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমি আশঙ্কা করছি আমাকেও হত্যার টার্গেট করা হয়েছে। লেবাননের কর্তৃপক্ষ এবং হিজবুল্লাহ অবশ্য মনে করে, সৌদি সরকার জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছে।
লেবানন মনে করে, সাদ আল-হারিরি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আটক রয়েছেন। তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে বৈরুত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লেবানিজ কর্মকর্তা জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী হারিরি’কে মুক্তি দিতে সৌদি আরবের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবে লেবানন।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, হারিরি’কে রিয়াদে গৃহবন্দি করে রাখা লেবাননের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। তার মর্যাদা আমাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। তাকে বৈরুতে ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, হারিরি এখনও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী। একই কথা জানিয়েছেন সরকারের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের মতে, বিদেশে গিয়ে দেওয়া হারিরি’র পদত্যাগ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রেসিডেন্টও এটি গ্রহণ করেননি। প্রেসিডেন্ট চাইছেন, তিনি লেবাননে ফিরে এসে সৌদি আরবে গিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করবেন।