সাধারণত দুটি সাপের শারীরিক ভালোবাসা বা যৌনমিলনকে ‘শঙ্খ লাগা’ বলা হয়। সাপের এই ভালোবাসার দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে বিরল এ দৃশ্যের দেখা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায়।
শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকার একটি ফসলি জমিতে দুটি দাঁড়াশ (স্থানীয় ভাষায় দারাজ) সাপের ‘শঙ্খ লাগা’ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয় জনতা।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল গাফফার বলেন, “সাপের ‘শঙ্খ লাগা’ একটি সাধারণ ও প্রাকৃতিক বিষয়। মানুষ বা অন্য প্রাণীর যেমন যৌনমিলন হয়, সাপও তেমনিভাবে প্রজননের জন্য মিলন ঘটায়।”
সুন্দরপুর এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় সংবাদকর্মী হুমায়ুন কবির বলেন, “সাপের ওই মিলন সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। দাঁড়াশ প্রজাতির সাপ দুটি লম্বায় ছিল চার থেকে পাঁচ ফুট। শঙ্খ লাগা অবস্থায় নিজেদের পেঁচিয়ে অনেক উঁচুতে লাফালাফি, মারামারি ও একে অপরকে কামড় দিতে দেখা যায়।”
সাপের নির্দিষ্ট সময়ে প্রজনন সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মিলনে উদ্দীপ্ত করে এবং প্রেম বা ভালোলাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। খাদ্যনিরাপত্তা, তাপমাত্রা এবং সঙ্গীর সহজলভ্যতা এসবের উপর সাপের মিলন নির্ভর করে। সাধারণত বর্ষাকাল এজন্য অনেকটা উপযুক্ত সময়। তাই এই সময়ই সাপের শঙ্খ বা মিলন বেশি হয় বলেও জানান অধ্যাপক আব্দুল গাফফার।