চীন সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের চীন সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে এক সভা করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। চীন সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়ে আলোচনা জাতিসংঘে হচ্ছে, সেই আলোচনাতো এখানে (চীনে) অবশ্যই আসবে। আর চীন বিষয়টি অস্বীকারও করেনি। যার প্রমাণ হলো জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বসম্মতভাবে বিবৃতি দিয়েছে।
বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফে এখন মানুষের ঢল। সেখানে মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। এই মুহূর্তে বিএনপি ২০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গেলে কী অবস্থা হবে? আওয়ামী লীগ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়। বিএনপি পুলিশ থেকে শুরু করে কারও অনুমোদন না নেওয়ায় তারা ত্রাণ বিতরণ করতে পারেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়া একবাক্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, তাঁর সরকারের যে সাহসী এবং মানবিক ভূমিকা, এর কিন্তু সবাই এক বাক্যে, জাতিসংঘসহ সবাই প্রশংসা করছে।
এখনো করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার অসম সাহসী ভূমিকার প্রশংসা তাঁরা করেছেন। শুধু আমাদের দেশের একটি দল প্রকাশ্যে সরকার ব্যর্থ, রোহিঙ্গাদের ইনফ্লাক্স (ঢল) বন্ধ করতে ব্যর্থ, এসব নানা অভিযোগ তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে বেগম জিয়া এ বিষয়ে (রোহিঙ্গা) কথা বলছেন। বিভিন্ন দেশে তিনি কয়েক দফা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। অথচ আমরা অবাক হই। বারবার তিনি তাঁর দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তন করছেন। বারবার শুধু বদলাচ্ছেন। আগে জানতাম যে তিনি ঈদের পরপরই ১৫ তারিখ আসবেন। ১৫ তারিখ চলে গেল, এখন শোনা যাচ্ছে এই মাসে তিনি আসবেন না। তিনি বলেন, আপনি খালেদা জিয়া যদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানকে জাতীয় স্বার্থ মনে করেন, এখন দলীয় স্বার্থে আপনি শেখ হাসিনা সরকারকে প্রতিপক্ষ ভেবে বিদ্বেষপ্রসূত অবাস্তব কমেন্ট (মন্তব্য) করবেন।