সোমবার কুতুপালং ক্যাম্প ও বালুখালীতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দুইটি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, কুতুপালং থেকে বালুখালী পর্যন্ত ১৭ বুথ স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে কুতুপালং ক্যাম্পে একটি ও বালুখালীতে একটি বুথ স্থাপন হয়েছে।
বুথগুলোতে প্রতিদিন ৭০০ করে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনটি করা হবে। নিবন্ধন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি পাসপোর্ট অফিস করছে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পটির ডেপুটি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল আজম বলন, রোহিঙ্গাদের ১০ আঙ্গুলে চাপ, ছবি, বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ও মিয়ানমারের ঠিকানা নেওয়া হবে। তারপর পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ জানান, সব রোহিঙ্গাদের একস্থানে নিয়ে ডাটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচয়পত্র পাওয়া রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
রাখাইনে সহিংসতার মুখে এ পর্যন্ত তিন লাখের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আশ্রয় নেওয়া নতুন ও পুরনো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে এসে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে একটি ডেটাবেইজও তৈরি কথাও জানিয়েছিল প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে বুথ স্থাপন করে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।