সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তাকে তার ন্যূনতম প্রাপ্যটুকুও দেয়া হচ্ছে না। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সবকিছু থেকে, নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতীক অনশনে অংশ নিয়ে নেতারা এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৪টায় এই প্রতীক অনশন শেষ হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনেক দিন পর খোলা জায়গায় রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করল বিএনপি। সকাল ৯টা থেকে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৮টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নেতাকর্মীরা নাট্যমঞ্চে এসে জড়ো হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। বিএনপি জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও বক্তব্য দেন।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সবার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনও জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। তাকে আজকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কারাগারে তাকে ন্যূনতম প্রাপ্তিটুকু দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে, বেগম জিয়ার মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি আবারো করছি যে, এখানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে পুনরায় গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তবেই নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এদেশে নির্বাচন হবে অন্যথায় নির্বাচন হবে না।