অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাটের প্রস্তাবটি ছিল ভুল – অর্থমন্ত্রী

0
অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাটের প্রস্তাবটি ছিল ভুল - অর্থমন্ত্রী

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পণ্য বা সেবার পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি সেবার সংজ্ঞা সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা ভার্চুয়াল বিজনেস যেমন ইউটিউব, ফেইসবুক এগুলোর উপর ট্যাক্স ধার্য করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কিন্তু অনলাইন বিজনেস আমরা আলাদা করেছি, এটার ওপর ভ্যাট বসাইনি।”

“এর ফলে অনলাইনভিত্তিক যে কোনো পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরকে এ সেবার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হবে। তাই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।”

অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণায় অনলাইনে কেনাকাটায় ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকা সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। অনেকেই মুহিতের ওই প্রস্তাবের সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

রেওয়াজ অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী বাজেটের পরদিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হলে অনলাইনে কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “অনলাইন বেশ পপুলার হয়েছে, সুতরাং তাদেরও…।

এনবিআর চেয়ারম্যান মুহিতের বক্তব্য শেষ না হতেই চেয়ার থেকে উঠে এসে মন্ত্রীকে কিছু একটা বলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তাকেই বক্তব্য দিতে বলেন অর্থমন্ত্রী।

মোশাররফ তখন বলেন, “আমরা ভার্চুয়াল বিজনেস যেমন ইউটিউব, ফেইসবুক এগুলোর উপর ট্যাক্স ধার্য করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কিন্তু অনলাইন বিজনেস আমরা আলাদা করেছি এবং এটার উপর ভ্যাট বসাইনি।”

সাংবাদিকরা তখন মন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবের বিষয়টি তুলে ধরলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “ছাপায় হয়ত ভুল হতে পারে।”

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে এক হাজারের বেশি ই-কমার্স কোম্পানি, ফেইসবুকভিত্তিক এফ-কমার্স প্রায় ২৫ হাজার এবং এক হাজারের মতো অনলাইন শপ রয়েছে। এর বাইরেও নানা ধরনের ভার্চুয়াল ব্যবসা সেবা রয়েছে।