বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন মঙ্গলবার ডাক যোগে উকিল নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি জিয়া পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা মুখে নানা কথা বললেও অভিযোগ প্রমাণে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই আমরা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি।
ওই উকিল নোটিসে বলা হয়েছে, বিদেশে সম্পদ নিয়ে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা করা না হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে। গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বিদেশে সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে জন্য ক্ষমা না চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।