কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়র শিক্ষকদের নাজেহাল করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে। রোববার বেলা সোয়া ১২টির দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
এইদিন বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে সমবেত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তাদের আগেই শহীদ মিনার এলাকায় হাজির হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের কয়েকশ নেতাকর্মীকে নিয়ে শহীদ মিনারের বেদির সামনে শিক্ষক-ছাত্রদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে শুরু করে ছাত্রলীগ। গালাগাল ও মাইক বন্ধ করে দিলে শিক্ষকরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।
কোটা আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে আইন অনুষদের মোড়ে গেল ছাত্রলীগ কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। শিক্ষকদের গালিগালাজ ও ছাত্রীদের মারধর করে। তারা সাংবাদিকদের ওপরও ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের বুম কেড়ে নেয়।
এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হক বলেন, শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল। সেখানে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। তারা মাইকে শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তি করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের দোষারোপ করছে। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে আসলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়।