ঢাকার নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। তার মধ্যে তানজিবা বিনতে তানভীর প্রাপ্তির (২১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার জিটিসিএলের কাছ থেকে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থী ইশরাকুল মেহরাবের (২২) সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার তানভীর আহমেদের মেয়ে প্রাপ্তি। তিনি নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ্ আহমেদ জানান, সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে নদীতে নামে। পরে জিটিসিএল ও ভৈরব কাঠপট্টি এলাকার মাঝামাঝি স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রাপ্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা থেকে শনিবার সকালে প্রাপ্তি ও ইশরাকুলসহ নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী কিশোরগঞ্জে ভৈরবে ঘুরতে আসেন। সারাদিন তারা ভৈরব রেলসেতু ও আশপাশ এলাকা ঘুরে বিকেলে আশুগঞ্জের চরসোনারামপুরে যান। সেখানে জাতীয় গ্রিডলাইনের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের পাশে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাপ্তি ডুবে যান। তাকে বাঁচাতে ইশরাকুলও নদীতে নেমে ডুবে যান। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বাকি পাঁচ শিক্ষার্থী নদীতে নামলে একে একে তারাও ডুবে যান। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
