এমপিওভুক্তির কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু হবে : শিক্ষামন্ত্রী

0
এমপিওভুক্তির কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু হবে

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে। এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে আজ শনিবার প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মো. শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। অবশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হবে।

খন্দকার আজিজুল হক আরজুর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ ও বিদ্যমান ভবন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তালিকার ভিত্তিতে প্রণীত ‘বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ ও ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ শীর্ষক দুটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রথম প্রকল্পে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ও দ্বিতীয় প্রকল্পে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে প্রকল্প দুটির কাজ শুরু হবে।

এরপর স্বপন ভট্টাচার্যেরে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ডের অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড’ এর আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেট থেকে সিড মানি হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা ও থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও জানান, বর্তমানে অনলাইনে অবসর সুবিধার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্থ অনলাইন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে তা অবহিত করা হচ্ছে। এতে ঢাকায় না এসেই অবসর সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নাজমূল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে মেট্রোপলিটন-বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নূরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি করা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪০টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।