একই গালি কত সহ্য করা যায়? যার কারণে শেষ পর্যন্ত বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের বলি হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন মেসুত ওজিল। তার অবসরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক সরকার।
তাকে স্বাগত জানিয়ে তুর্কি আইনমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘সবচেয়ে সুন্দর গোল’ করেছেন।
গেল মে মাসে বিশ্বকাপে লন্ডনে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। সঙ্গে ছিলেন আরেক তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইকাই গুন্দোগান। সেই সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হওয়ায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দেশটির প্রধানের সঙ্গে দেখা করায় জার্মানির গণমাধ্যম ধুতেই থাকে তাকে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে এ মিডফিল্ডারকে না রাখতে কোচ জোয়াকিম লোর প্রতি অনুরোধ জানান জার্মানদের একাংশ। তবু তাকে দলভুক্ত করেন এ কোচ।
এরপর রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে জার্মানি বিদায় নেয়ায় ফের রোষানলে পড়েন আর্সেনালের ২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। একপর্যায়ে মৃত্যুর হুমকি পান। শেষ পর্যন্ত তা সহ্য করতে না পেরে জার্মান ফুটবলকে বিদায় জানান।
তিনি জানান, আমি আর জার্মান দলে খেলছি না। তুর্কি বংশোদ্ভূত হওয়ায় অসংখ্যবার বর্ণবাদ ও অসম্মানের শিকার হয়েছি। এরদোগানের সঙ্গে তোলা ছবিটি শেয়ার করার পর থেকে নানা রকমের বাজে ভাষার মেইল পাচ্ছি। এ ছাড়া অনেকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাজে কমেন্ট করেছেন। পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার জন্য আমাকে দায়ী করা হচ্ছে।