কোটার কমিটি গঠনের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে

0
সচিব

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কার করতে একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব শেষ অগ্রগতির কথা জানান সচিব।

তিনি বলেন, “একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি, এটা আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে পৌঁছেছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী দেখেন তাহলে দু’এক দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত দেবেন, একটি কমিটি হবে। “কমিটি সুপারিশ করবে, কমিটির সুপারিশ সরকার অনেক সময় রাখে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত হবে যেটা সবাই চাচ্ছে, আশা করি সেটা হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, কমিটির সদস্য ৪ থেকে ৫ জন হতে পারে।কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারে কমিটি করার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে। এর মধ্যে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে রোববার থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা রয়েছে তাদের।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে বা কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নেবে এ দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, কমিটি গঠিত হলে কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে সরকার পরবর্তী অবস্থান সকলের জন্য জানিয়ে দেবে। “… তারা (কমিটি) যে প্রতিবেদন দেবে সেই প্রতিবেদন সরকার বিবেচনা করে দেখবে যে কোটা বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব কি হওয়া উচিত অতপর সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বলেন, “বারবার এই আন্দোলন ঝামেলা মিটাবার জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল; পরিষ্কার কথা; আমি এটাই মনে করি, সেটা হল বাতিল।”

কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও ওই দিন বলেন সরকারপ্রধান। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি তুলেছিল। কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের দাবিও জানিয়েছিল তারা।

প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের কথা বলার পর তারা এখন সেই প্রজ্ঞাপন দ্রুত প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে।