কোটায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা হস্তক্ষেপ নয়

0
কোটায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা হস্তক্ষেপ নয়

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সচিবালয়ে আজ বুধবার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে পূরণ করার সুযোগ থাকলেও ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এই আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপেক্ষা করে ভিন্নতর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে। কোটা পর্যালোচনায় গঠিত সরকারের কমিটি এ বিষয়ে সচেতনতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্ত্রী আশা করেন। এ বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি আজ ওই কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুলাই বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। সেই কমিটি এর মধ্যে একটি সভাও করেছে। এমন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী কোটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডাকেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিল করার ঘোষণা দেওয়ার পর এবং কমিটির কার্যক্রম শুরুর পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়টিই তিনি শুধু জানিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। আদালতের আদেশ বহাল থাকা পর্যন্ত এটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এখন সরকার চাইলে সেটা আদালতে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, উনারা (কমিটি) এটা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) ঠিক রেখে অন্যান্য যে কোটা আছে, তা পুনর্বিবেচনা করে মতামত দিতে পারবেন। সেখানে সরকারের বিবেচনায় যা করার সেটা করা যাবে।’