ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইন্টারনেট খাতে প্রচলিত মূল্য সংযোজন কর কাঠামো সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমবে।
আইএসপিএবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, সংশোধিত মূসক বিধি জারি এবং সরকারের লক্ষ্য অর্থাৎ দেশের সবার কাছে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা এখন কাজ শুরু করেছি।
তবে সংশোধিত মূসক বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর ক্ষেত্রে আইএসপি অপারেটরগণ কিছু বাস্তব সমস্যার মুখোমুখিও হচ্ছেন বলে জানায় সংগঠনটি।
মূলত ব্যান্ডউইথ ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জে পূর্বের ১৫ শতাংশ হারে মূসক বজায় থাকা এবং রেয়াতের বিধান অকার্যকর হয়ে যাওয়ার ফলে সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যান্ডউইথ ট্রান্সমিশন ব্যয় পূর্বের তুলনায় না কমে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে সাধারণত, একজন আইএসপি অপারেটরের মোট পরিচলন ব্যয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ব্যয় হয় শুধুমাত্র ব্যান্ডউইথ ট্রান্সমিশনে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই, ট্রান্সমিশন চার্জের এই বৃদ্ধির প্রভাবে মোট পরিচলন ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাচ্ছে। আর এ কারণেই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট মূল্য হ্রাস, এমনকি বর্তমান মূল্য বজায় রাখাও আইএসপি অপারেটরদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় আইএসপিএবি।
এসব এনবিআরকে বুঝিয়ে বললে তারা নতুন করে বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানায় সংগঠনটি। আইএসপিএবি বলেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সংশোধিত হারে মূসক আরোপের মাধ্যমে তুলনামূলক কম মূল্যে গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারবো আমরা। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানায়।
এমন প্রজ্ঞাপনের ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছে আইএসবিএবি।