ঘোষিত বাজেটে ই-কমার্সকে পুনঃসংজ্ঞায়নের সুপারিশ ই-ক্যাবের

0
ঘোষিত বাজেটে ই-কমার্সকে পুনঃসংজ্ঞায়নের সুপারিশ ই-ক্যাবের

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নামক সংগঠন প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে ই-কমার্সকে পুনরায় সংশোধন করে সংজ্ঞায়িত করাসহ এই খাতে চলমান আরোপকৃত মূসক অব্যাহতির সুপারিশ করেছে।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ই-ক্যাব আয়োজিত ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের মধ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস ও অনলাইন পণ্য বিক্রয় বিষয় দুটিকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সেখানে ভার্চুয়াল বিজনেসকে ইন্টারনেটে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয়কে বোঝানো হয়েছে। আর এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর অনলাইনে পণ্য বিক্রয় বলতে ওইসব প্রতিষ্ঠান বোঝায় যাদের নির্দিষ্ট কোনো বিক্রয় কেন্দ্র নেই। অনলাইনেই তাদের ব্যবসা কেন্দ্র পরিচালিত হয়।’

ই-ক্যাব প্রস্তাবিত সমণ্বিত সংজ্ঞাটি হলো- যাদের নিজস্ব কোনো বিক্রয় কেন্দ্র নেই এবং ইলেক্ট্রনিক্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে এবং যাদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকেও অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেন করে তারা বা ওই প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের অন্তর্গত থাকবে।

ই-কমার্সকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আরও বিকাশিত অবশ্য কর্তব্য। ই-ক্যাবের নেতারা আরও বলেন, এই লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী মূসক থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে এবং ‘এদেশে অনলাইন ব্যবসার প্রসার যতটুকু হয়েছে তার জন্য সরকারের সহায়তার অবদানই বেশি। কিন্তু সম্পুর্ণরূপে এই খাতটিকে দাঁড় করাতে জনপ্রিয় করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী বা কমপক্ষে আগামী ১০ বছর ই-কমার্সের উপর মূসক সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দিতে হবে। কেননা এখনও অনলাইনে ব্যবসা শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক হয়ে আছে। এটাকে সারাদেশব্যপী ছড়িয়ে না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া বেকারত্ব দূরকরণে অবদান রাখা এই খাতে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় আসেন। তাদের উপরে এই পরিমাণ কর আরোপ করার কারণে তারা অনুৎসাহিত হচ্ছে। ’

সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক, অর্থ-সম্পাদক মো. আব্দুল হক, যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, আশিক চক্রবর্তীসহ প্রমুখ।