ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বর্তমান অবস্থান, ক্ষমতা, সমর্থন শুন্যের কোঠায়। এর প্রধান কারন হচ্ছে কোটাসংস্কারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছাত্রলীগের একটি বিশাল অংশের মৌন সমর্থন রয়েছে। এটা শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সারাদেশেই।
এটাকে সুযোগ ভেবে সরকারবিরোধীরা রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের বৃথা চেষ্টা করলে সেটার ফলাফলও শুন্য হবে। মনে রাখা উচিত ইস্যুপ্রিয় বাঙালি জাতিকে এক ইস্যুতে দীর্ঘদিন দন্ডায়মান রাখা যায়না।
তাছাড়া কোটাসংস্কারের আন্দোলন সীমিত সময়ের জন্যই। সরকার একটা সিদ্ধান্ত দিলেই সব চুকে যাবে।
গতরাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি ইফফাত জাহান ইশা কতৃক সাধারণ ছাত্রীদের উপর হামলার রেশ ধরে আজ সারাদেশে ছাত্রলীগের কঠোর সমালোচনা চলছে। পাশাপাশি কোটাবিরোধীদের পক্ষে জনসমর্থনও বেড়েছে।
পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ‘ইশা’কে দল থেকে তাতক্ষণিক বহিস্কার এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটি অবশ্যই প্রশংসনীয় ছিলো।
(ক্ষমা চাইতে এসে গনধোলাই হিসেবে কয়েকজনের কিল কনুইও খেয়েছেন হালকার উপর ঝাপসা)
আমি মনে করি এই মুহুর্তে সরকারের উচিত হবে অনতিবিলম্বে কোটাসংস্কারের আশ্বাস না দিয়ে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া। এতে করে দেশের সাধারন মানুষের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি প্রতি অনীহা কমবে।
এই আন্দোলনের সাথে অসংখ্য আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকও রয়েছে। আড়ালে আবডালে ছাত্রলীগ কর্মীরা রয়েছে। সারাদেশের সচেতন মানুষ রয়েছে।
মনে রাখা ভালো এই কোটাসংস্কারের আন্দোলন নির্দিষ্ট কোনো জাতিগোষ্ঠির দাবী নিয়ে নয়, কোনো রাজনৈতিক দাবীও নয়,
এটি দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েদের প্রাণের দাবী।
#ReformquotaBD
Ochikirshu Loukik এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।