দাদী-নাতীর অসম বিয়ে নিয়ে তোলপাড় এলাকাজুড়ে

0
অসম প্রেম

ঘটনাস্থল চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রাম। স্থানীয় সম্পর্কে দাদীর সঙ্গে এক নাতীর অসম বিয়ে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকাজুড়েই । নবম শ্রেনীর স্কুলছাত্রের সাথে অবৈধ সর্ম্পকের জেরে দাদী সন্তান প্রসব করলে তড়িঘরি করে এই অসম বিয়ে হয় বলে জানা গেছে ।
অসম প্রেম
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে চাঁদপুরে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দাদী-নাতীর বয়স পরিবর্তন করার মাধ্যমে এই অসম বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় সুত্র মতে, ওই গ্রামের হাজী বাড়ির সোবহান মিয়ার ছেলে সাইফুল (১৫) স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে সোবহান মিয়ার চাচা মৃত সুলতান মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) তার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত বছর সেলিনার স্বামী মারা গেলে সাইফুলের সাথে তার অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে।

এই অসম ও অবৈধ সম্পর্কের ফলে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী সেলিনা বেগম নিজ বাড়িতে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। বিধবা স্ত্রীর ঘরে সন্তান প্রবসের বিষয়টি জানাজানি হলে বের হয়ে আসে দাদী-নাতীর অসম প্রেমের অবৈধ সর্ম্পকের কাহিনী। সন্তান প্রবসের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মসজিদের ইমামের ফতোয়া অনুসারে বিচার করা হবে বলে দাবী করলে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা গোপনে চাঁদপুর বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে যান। সেখানে সাইফুলের বয়স ২৮ এবং সেলিনার বয়স ২৪ দেখিয়ে ৩২৩ নং স্মারকে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সুলতানের প্রথম স্ত্রী মারা গেলে বিগত সাত বছর আগে বিয়ে করেন সেলিনাকে। গত বছর সুলতান মারা গেলে সেলিনার সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে সাইফুলের। এদিকে ওই দুই জনের বয়স পরিবর্তন করে কিভাবে এই বিয়ে সম্পন্ন হলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, সাইফুলের মা হোসনেয়ারা বলেন, আমার চাচী শ্বাশুড়ী এখন আমাদের পুত্রবধু, আমরা সুখেই আছি। অন্যদিকে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার সময়ের কণ্ঠস্বরের বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত আছি। ওই দুই পরিবারের সদস্যরাই এই বিয়ে দিয়েছেন।