খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঙ্গলবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দু’টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করছে কমিশন। অধিকতর উন্নত এ ইভিএম দিয়ে গত ডিসেম্বরে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সীমিত আকারে ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে সাফল্যও আসে ব্যাপক। ওই নির্বাচনে ইভিএমে ৬১ শতাংশের মতো ভোট পড়েছিল।
সে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রে এর ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার ভোটারদের প্রশিক্ষিত করে ব্যাপক প্রচারণার পর এলাকায় মক ভোটিংও করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্বেই উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টদের মেশিনটি দেখানো হয়। একইসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার প্রতীক ঠিক আছে কি-না তা নিশ্চিত করা হয়।
ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ইভিএম মেশিন সেটআপ করেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রের সব ভোটকক্ষে ব্যবহৃত ভোটিং মেশিন চালু করার নিরাপত্তা ‘পিন কোড’ এবং পাসওয়ার্ড গোপনীয়ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সরবরাহ করেন। ‘অডিট কার্ড’ প্রবেশ করিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা/সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পাসওয়ার্ড/পিন প্রদান করে মেশিনের জিজ্ঞাসা অনুযায়ী আঙুলের ছাপ দিয়ে ইভিএম ভোটগ্রহণের শুরু করছেন।