নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে

0
শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী আজ রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মালেকা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীত ফেলো ড. রওনক জাহান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চায়, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যায়নি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা রাখছে না।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিতকরণে ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য এ খাতে তদারকিও জোরদার করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নারী ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। কর্মক্ষেত্রে নারী বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে। প্রচলিত শিক্ষাকার্যক্রমে সংস্কার হলে আরো উন্নয়ন সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নে লক্ষে কাজ করেছেন। নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তারা সমাজে আর পিছিয়ে থাকবে না, এজন্য আমাদের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ নতুন প্রজন্মকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো নিজেকে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সরকারের দূরদর্শিতার কারণে সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারী বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সমর্থ হয়েছে। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের বাইরেও অনেক নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যোগ্যতার প্রমাণ রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার মান বেড়েছে। এই গুণগতমান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাঁর যুগোপযোগী উদ্যোগে এই শিক্ষার মান বেড়েছে।

ড. রওনক জাহান বলেন, একজন মেয়েকে এগিয়ে আসতে হলে তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে দিতে হবে। সমাজের আর ১০ জন কি ভাবছে তা নিয়ে বেশি চিন্তা করলে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে না। সমাজের বদ্ধমূল রীতিও বদলায়, যখন সমাজ উপলব্ধি করে যে, পরিবর্তনটা সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।

সমাবর্তনে এক হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। ছয়জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ১০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন।