বেসিস নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা

0
লুনা শামসুদ্দোহা

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিস নির্বাচনে এবার প্যানেল ঘোষণা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা। লুনা শামসুদ্দোহা যিনি বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির (বিডাব্লিউআইটি)-এর সভাপতি। দেশের খ্যাতনামা সফটওয়্যার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান । এবং সম্প্রতি তিনি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন।

আজ রোববার এই প্যানেল ঘোষণা করেন তিনি, তার প্যানেলের নাম ‘উইন্ড অব চেইঞ্জ’। তবে বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির ৯টি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী নিয়ে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই ৮ জনের সবাই জেনারেল ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করবেন। অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরির একটি পদের জন্য কোনো প্রার্থী প্যানেলটিতে নেই। প্যানেল প্রধান লুনা ছাড়াও উইন্ড অব চেইঞ্জে রয়েছেন, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ডিভাইন আইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ফকরুল হাসান, এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সিইউ আবুল দাউদ খান, স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সিওও রেজওয়ান খান, ইনোভেশন ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ সানোয়ারুল ইসলাম, রাইট ব্রেইন সল্যুশন লিমিটেডের সিইও নূর মাহমুদ খান এবং এআর কমিনিকেশনস প্রধান নিবার্হী এম আসিফ রহমান।
লুনা শামসুদ্দোহালুনা,প্যানেল

লুনা শামসুদ্দোহা বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বেসিসকে নতুন উচ্চতায় নিতে হলে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন দরকার। সে জন্য দরকার অভিজ্ঞ ও উদ্যমী কর্মী। এসব বিষয় মাথায় রেখেইে এই প্যানেল সাজানো হয়েছে।প্যানেলটির নির্বাচন পরিচালনা দপ্তরের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ইমরান জানান, লুনা শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে এই প্যানেলভূক্ত প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই ভোটারদের প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ও মতবিনিময় শুরু করেছেন। পরিবর্তনের জন্য সবার কাছে ভোট চাইছেন তারা।বেসিসের ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ৪০ জন্য প্রার্থী।

এবারে নির্বাচনে অংশ নিতে জেনারেল সদস্য ক্যাটাগরিতে ৩৪ এবং অ্যাসোসিয়েটে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।নির্বাচন বোর্ড বৈধ প্রার্থী তালিকা ১২ মার্চ ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ১৭ মার্চ প্রকাশ করবে। এর মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।নির্বাচন কাণ্ডে ২০১৭ সাল জুড়ে সরগরমের পর অবশেষে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় বারের মতো সংগঠনটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়।চলতি মাসের ৩১ তারিখে হবে এ নির্বাচন। ডিটিও’র নির্দেশনা অনুযায়ী ২ বছর মেয়াদের জন্য ৯ পদে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।২০১৭ সালের শুরু হতেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নেতাদের মতদ্বৈততা, আপিল-অভিযোগ চলে।এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও শাখার শুনানি, প্রথম দফায় ৮ জুলাই নির্বাচন বাতিল শেষে একই ইস্যুতে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র পর্যন্ত সংশোধন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনও হয়নি।