ফতুল্লায় কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

0
ফতুল্লায় কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ, শ্রমিক ছাটাই ও নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। এসময় ডিআইটি মাঠে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। অবরোধের কারণে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

এইদিকে পুলিশ ও শ্রমিক সূ্এ জানায়, রবিবার সকালে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার সাকুরা গার্মেন্টের এক শ্রমিককে মারধর করে মালিক পক্ষের লোকজন। প্রতিবাদে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ওসমান, র‌্যাডিক্যাল ও আবির গার্মেন্টের শ্রমিকরা। তারা একত্রিত হয়ে বকেয়া বেতন বোনাস দেওয়াসহ শ্রমিক ছাটাই ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে করতে ফতুল্লা থানার সামনে এসে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ (পুরাতন) সড়ক অবরোধ করে।

সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে ফতুল্ল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও শ্রমিক ছাটাই ও শ্রমিক নিযার্তন বন্ধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে শ্রমিকরা রাস্তার পাশের ডিআইটি মাঠে অবস্থান নিয়ে চার গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

এইদিকে সকুরা গামেন্টের শ্রমিক আবুল কালাম ও সাত্তার মিয়া জানান, ঈদের আগে রাত দিন টানা কাজ করার পরও গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের পুরো বোনাস না দিয়ে আংশিক বোনাস দেয়। ঈদের ছুটির পর কাজে যোগ দিয়ে বাকি বোনাস দাবি করার কারণে এক শ্রমিককে মারধর করে মালিক পক্ষের লোকজন। কোনও অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই তাদের মারধর ও চাকুরিচ্যুত করা হয় বলে তারা দাবি করেন।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এম এ শাহীন জানান, আমরা গার্মেন্ট মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুতই শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে নিতে পারবো।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের এ ব্যাপারে জানান, বকেয়া বেতন-বোনাস দেওয়াসহ শ্রমিক ছাটাই ও নির্যাতন বন্ধের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। শ্রমিকরা চারটি গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।