বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বাড়ানোয় সংসদে এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষোভ

0
বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বাড়ানোয় সংসদে এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষোভ

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ অধিবেশনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে গৃহকর (হোল্ডিং) ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এমপি-মন্ত্রীরা। নির্বাচনের আগে এ সিদ্ধান্ত ভোটের রাজনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন তারা।
বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বাড়ানোয় সংসদে এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষোভ

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। পরে এ ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

এ সময় সভাপতির চেয়ারে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াও সহমত প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দিতে বলেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়ে যে কথাটা উঠেছে, তা সঠিক। নিজে টিভিতে দেখেছি বেশ কিছু লোক এ সিদ্ধান্তটির সমালোচনা করেছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স বাড়বে এটা অস্বাভাবিক কিছু না, সবকিছুই দিন দিন বাড়ে। সম্ভবত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর ধরে ট্যাক্স বাড়ান না। কিন্তু সেইটা যদি এক সঙ্গে বাড়ানো হয়, সেটা মানুষ গ্রহণ করবে না।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, আমরা জনগণের কথা বলি, জনগণের সুখ-দুঃখের ভাগীদার আমরা। হঠাৎ যার ট্যাক্স ছিল আট হাজার টাকা তার যদি এখন ৭২ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয় তাহলে প্রতিক্রিয়া তো হবেই। আমার নিজেরও একটা বাড়ি আছে বনানীতে। এইটা মনে হয় পুনঃবিবেচনা করা প্রয়োজন।

এ সময় প্রশ্ন উত্থাপনকারী সদস্যের উদ্দেশে তোফায়েল বলেন,  যদি নোটিশ দেন তাহলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতিতে কতগুলো সময় থাকে যে জিনিসটি আপনি ৩-৪ বছর আগে করতে পারতেন সেই জিনিসটি একটা সরকারের শেষ সময়ে এসে করলে তার একটা প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য। এর একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাই এটির সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

এর আগে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ঢাকা শহরে হোল্ডিং ট্যাক্সের ব্যাপারে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ অত্যন্ত অসহায়ের মধ্যে আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এমনিই মানুষ দিশেহারা তার মধ্যে এই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও মেয়ররা হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ান, সেটা কাউন্সিলরদের জবাব দিতে হয়। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একটি বছর। বাস্তবে আর আছেই ৬-৭ মাস। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

অনতিবিলম্বে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবু হোসেন বাবলা বলেন, এটা যদি এক বছর আগে করত, দুই বছর আগে করত সমস্যা ছিল না। এখন তো সময় সন্নিকটে, মোবাইল সিস্টেমে প্রিপেইড করেছে। তবে এটা এখন কেন নির্বাচনের পরে করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে