বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে তৃতীয় বিয়ে করে ওই স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সুমন উদ্দিন (৩৮) নামের এক ভুয়া সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলমী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া ওই সেনা সদস্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগোসাই গ্রামের দাই বাড়ির গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর (২০) সঙ্গে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতারক সুমন উদ্দিন। পরে তাকে বিয়ে করে যৌতুকের নামে তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকেন সুমন। এর আগেও তিনি দুটি বিয়ে করেছেন এবং ঐ দুই ঘরে তার দুটি সন্তানও রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এক বছর আগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে তার পরিচয় হয় প্রতারক সুমনের সঙ্গে। পরে কৌশলে মুঠোফোন নম্বর নিয়ে সুমন নিজেকে অবিবাহিত ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে সম্পর্ক গভীর হলে পারিবারিক সম্মতিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে সুমনের সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর সুমন তার ঢাকার মিরপুরের ভাড়া বাসায় ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন।
পরবর্তীতে ওই তরুণী জানতে পারেন তাকে বিয়ে করার আগেও প্রতারক সুমন আরও দুটি বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি সন্তানও আছে। এরপর তিনি কৌশলে কোম্পানীগঞ্জের চরকলমী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে চলে আসেন। পরে প্রতারক জামাই সুমনও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এলে বুধবার তারা পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ প্রতারিত তরুণীর অভিযোগ পেয়ে সেখানে এসে বিয়েপাগল সুমনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, প্রতারক ওই যুবককে আটকের পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
