শনিবার ভোর রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীতে রেখা (১৪) নামে এক কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তার পিতার নাম আইয়ূব আলী।
পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। রেখা রাজাখালী সিনিয়র মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
তবে পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের তিন বখাটের ধর্ষণের শিকার হওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে তিনি এবং তার স্ত্রী বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরে শনিবার ভোরে তার ছেলে রাসেল ফোন দিয়ে জানায়- তার বোন রেখা বিষপান করেছে। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কিশোরীর পিতা আইয়ূব আলী বলেন, ‘বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারি- শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এলাকার তিন বখাটে আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে মাছের ঘেরে ধর্ষণ করে। তখন সে চিৎকার করলে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।’
মৃত কিশোরীর পিতার দাবি, অপমান সইতে না পেরে রেখা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ওই এলাকারই মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশম মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এর আগে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে হয়রানি করত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, ‘ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলাটি আপাতত ‘অপমৃত্যুর মামলা’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলাটি ধর্ষণ মামলা আকারে রেকর্ড করা হবে।’
