মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীরা

0
কোটা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং এই সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চাকরি প্রার্থীরা। এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিলের শুরু হয়।
কোটা
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), শাহবাগ মোড়, নীলক্ষেত মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হলে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা। সমাবেশ থেকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৯ মার্চের এ কর্মসূচি ছাড়াও স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে আগামী ২৫ মার্চ শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারী একজন বলেন, আমদের দাবি একটা পবিত্র দাবি। তাই আমরা কোটা সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি জানান, গত ১৪ মার্চের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে এবং আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আমরা ন্যায্য দাবির পক্ষে আন্দোলন করছি। কেউ যদি একজনও ন্যায্য কথা বলে ,বঙ্গবন্ধু ওই ন্যায্য দাবির পক্ষে কথা বলেছেন।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, চাকরি প্রার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবিগুলো হলো-কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য-পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটার কোনও বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের সামনে গেলে সেখানে পুলিশের বাধা পেয়ে তারা হাইকোর্টের সামনের ‘শিক্ষা অধিকার চত্বরে’ অবস্থান নেয় এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। এরপর আন্দোলনকারী অজ্ঞাত ৭০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।