ঢাবির মাইক্রোবায়োলজীর এক মেধাবী শিক্ষার্থী micro organism নিয়ে একটু রিসার্চ করতে চায় – বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে তার আবিষ্কৃত পদ্ধতি!
আহা বাংলাদেশ…….! দিশেহারা হয়ে মেধাবী ছাত্র ঘুরতে থাকে রাস্তায় রাস্তায় – একটা স্পন্সরের জন্য।
শেষমেষ জোগাড় করতে না পেরে ফরেন এ্যাম্বাসীতে ধরনা দেয়……ভিসা পেয়ে উড়াল দেয়। তিলে তিলে গড়া দেশের মেধাবী সন্তানটা অযত্নে আর অবহেলায় বিদেশে পাচার হয়ে যায়।
মেডিকেলের এক মেধাবী চিকিৎসক কোনো disease নিয়ে একটু গবেষণা করতে চায়, একটা স্পন্সর পায়না! অবশেষে বাধ্য হয়ে – চেম্বারে মাছি মারে। কিছুদিন পর অবাক হয়ে দেখে ইন্ডিয়ান এক চিকিৎসক তার রোগ নিয়ে গবেষণা করে নতুন কোনো পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছে।
বুয়েটের মেকানিকাল বা ইলেক্ট্রিকালে পড়ুয়া ছেলেটা টিউশনির টাকায় জিন্জিরা থেকে লোহা কিনে, ধোলাইখাল থেকে মটর কিনে! তার পদ্ধতিতে বানানো রোবট টা খটখট শব্দ করে! ধোলাইখালের টিউশনির টাকায় কেনা মাল, খটর খটর ই তো করবে!
আর অন্যদিকে বিকিনি পরা নারীদের পণ্য বানানোর জন্য আয়োজন করা হয় ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।’ কোটি কোটি টাকা স্পন্সর!
মেধা হেরে যায় নেংটির কাছে!
রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত মেধাবী মুখগুলো পাচার হয়ে যায়, আমরাও অপেক্ষায় থাকি – নেংটি আর ব্রা এর শোভা দেখবো বলে!
শাবাস!!!! বাংলাদেশ।
আসেন চিৎকার করে কোরাস গান গাই – ‘নাচ্ আমার ময়না…….তুই পয়সা পাবি রে!
লেখকঃ ডা: আসিফ উর রহমান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক