যুবলীগ নেতা একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে – ওবায়দুল কাদের

0
যুবলীগ নেতা একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

আজ শনিবার সকা‌লে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারীদের জন্য ‘দোলনচাঁপা’ বাস উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন মাদকবিরোধী অভিযানে টেকনাফের যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, য‌দি তিনি (একরামুল হক) নিরপরাধ হন, তাহ‌লে দো‌ষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘‌‌এ ‌‌ধরনের অভিযানে দুই-একটি ভুল হতেই পারে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একরাম আমাদের পার্টির একজন কর্মী, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমার মনে হয় কিছু বলা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া তথ্যপ্রমাণ ছাড়া একরামুল যে নির্দোষ, সে বিষয় নিয়ে আমি কিছু বল‌তে পারছি না। ‌কিন্তু যে-ই অপরাধী হোক না কেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‍আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এ অভিযানে যদি কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। এই অভিযানে যারা জড়িত, তাদের রেহাই দেওয়া হবে—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। একরামুল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের একজন প‌রীক্ষিত নেতা ছি‌লেন। তি‌নি ‘বন্দুকযু‌দ্ধে’ নিহত হলেন। এটা আওয়ামী লী‌গের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফসল কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবা‌বে মন্ত্রী ব‌লেন, ‘এখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আলামত আমরা পাইনি। যেটা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে কি সে ভিকটিম হয়ে গেল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনো নিরীহ ব্যক্তি হামলার শিকার হয়, সরকার কোনো প্রকারের ছাড় দেবে না। অন্যায় হলে তার বিচার হবে। ’

এ ধরনের একটা বড় কাজ, যা দেশের সর্বস্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে, এখন একটি মতলবি মহল এর বিরোধিতা করছে স্রেফ রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা হচ্ছে। সরকারের প্রতিপক্ষরাই বিরোধিতা করছে। কিন্তু যাদের জন্য অভিযান, তারা খুবই খুশি। তিনি বলেন, সুনামির মতো মাদক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই অবস্থায় শুধু ক্যাম্পেইনে মাদকের স্রোত থামানো যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এ দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ কিন্তু মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে সামাজিক জনমত গড়ে তোলার কথা ব‌লেননি।

তিনি বলেন, ‘আজকে যাঁরা সমালোচনা করে এ অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তাঁরা কিন্তু মাদক নিয়ে একটা কথাও উচ্চারণ করেননি। রাজনীতি ছাড়া এ দেশে আমাদের আর কিছু বলার নাই? তরুণ সমাজ মাদকের জন্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা কি কিছুই বলব না? এটা কোন রাজনীতি? যে রাজনীতি শুধু প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়। অথচ সমাজে যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পডছে, বাতাস, পানি দূষিত হচ্ছে—এর বিরুদ্ধে বলে না। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে মানুষের জন্য।’