রাশিয়ান শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে কাছেই একটি সোয়াম্পল্যান্ড এর মাঝখানে একটি লোহার গেট। গেটের ওপাড়ে দেয়াল ঘেরা জায়গায় কয়েকটি রেডিও টাওয়ার, কয়েকটি পরিত্যাক্ত আবাসিক স্থাপনা, আর পাওয়ার লাইনের উপস্থিতি। এই স্থাপনাটি একটি রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু যা টেনে নিয়ে যায় কোল্ড ওয়্যার এর সময়ে। যদিও এটিকে একটী রেডিও স্টেশনের সদর দপ্তর বলে অভিহিত করা হয় তবুও গত বিয়াল্লিশ বছরে কেউ এই রেডিও স্টেশনটি কে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টা চালাচ্ছে বলে দাবী করেনি। 
একটি একঘেয়ি স্বর সম্প্রচার করা হয়। কিছু সময় পর তার সাথে আরেকটি দ্বিতীয় স্বর যুক্ত হয়। স্বরটা কিছুটা ভৌতিক জাহাজের হর্ন বাজানোর মত শোনা যায়। এক বা দু’বার সপ্তাহে একজন পুরুষ বা মহিলা রাশিয়ান ভাষায় কিছু শব্দ পড়েন, যেমন ডিঙ্গহি বা চাষ বিশেষজ্ঞ। এবং এই রেডিওটি বিশ্বের যে কেউ যেকোন জায়গা থেকে শুনতে পারেন। তার জন্য শুধু ব্যাবহার করতে একটি রেডিও, যার ফ্রিকোয়েন্সি সেট করতে হবে ৪৬২৫ কিলোহার্জে। এটি এতই রহস্যময় যে মনে হয়, যেন কোন মাস্টারমাইন্ড ষড়যন্ত্রী এটির ডিজাইন করেছেন।
বর্তমানে এই রেডিওটির লাখের অধিক অনলাইন ফলোয়ার আছে। যারা আদর করে স্টেশনটিকে “দ্যা বাজার” বলে ডাকে। যদিও রেডিওটির ফ্যানরা নিজেরাও জানেন না তারা আসলে কি শুনছেন। এই দ্যা বাজার রেডিওটি আসলে কি তা নিয়ে নানা কাহিণী প্রচলিত আছে। কোন কোন কাহিনীতে এটিকে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
আরেকটি জনপ্রিয় মিথ হছে এটি একোটী ডেড হ্যান্ড সংকেত হিসেবে কাজ করছে। যা রাশিয়াতে কোন পারমানবিক হামলা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাল্টা পারমানবিক হামলার সূচনা করাবে। রেডিওটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক রেডিও চ্যানেল গুলোর মত শর্ট ওয়েভ ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে আসছে। এর মানে হচ্ছে এটি অনেকদূর পর্যন্ত সম্প্রচারিত হতে পারে।
একই রকম আরেকটি রেডিও স্টেশন লিংকনশায়ার পোচার। এটি ৭০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ঠিক দ্যা বাজারের মত করেই বেজে চলতো। যদিও এটির অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি তবে ধারনা করা হয় এটি সাইপ্রাসের আশে পাশে কোথাও ছিল।
সূত্রঃ বিবিসি
