আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। দুই পক্ষই ঘটনাস্থলে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও এতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সকাল থেকে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই পক্ষের লোকেরা আজিমপুর পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। সকাল থেকেই এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। প্রায় আধা ঘণ্টা মারপিটের ঘটনা ঘটে। কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থাকা ২০টির মতো মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও তিনটিতে আগুন দেওয়া হয়। মোটরসাইকেলগুলো দুই পক্ষের নেতা কর্মীদের বলে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে, কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ পূর্ব নির্ধারিত প্রস্তুতি সভা করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা ছিল এটি। এদিকে একই সময়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আবু আহমেদকে ‘লাঞ্ছিত’ করার প্রতিবাদে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করে আরেকটি পক্ষ। এর পক্ষটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের অনুসারী বলে স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।
শাহে আলম মুরাদের অভিযোগ, তাঁর সভা পক্ষ করতে রাতে কমিউনিটি সেন্টারের ঢোকার মুখে সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে ময়লা এনে ফেলা হয়। তারপরও এসব বিষয় উপেক্ষা করে তিনি সভা করছিলেন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা এবং সদস্য নবায়ন কার্যক্রম চলছিল। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ময়লা ফেলে সভায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। এটা করার মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে বাধা দিয়েছে।