রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমিতে ফেরার ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে চীন। মিয়ানমার থেকে জোর করে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীনের সক্রিয় সহায়তা চাইলে বৃহস্পতিবার এ আশ্বাস দেয়া হয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এদিন বেইজিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উলিখিত আশ্বাস দেয় চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে এখন চীনে রয়েছেন। আজ সফরের শেষ দিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের কাছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থা তুলে ধরেন।
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিতাড়িত রোহিঙ্গারা এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত যে, তারা তাদের ফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা চায়। তারা তাদের নিজেদের মূল গ্রামে ফিরে যেতে চায়, কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নয়। তাদের জীবিকা অর্জনের সুযোগ দেয়া আবশ্যক।’
এসব স্থানচ্যুত মানুষের দ্রুত প্রত্যাবাসনে রাখাইন রাজ্যে অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি ও পুনর্বাসনে মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করায় চীনের সক্রিয় সহায়তা চেয়েছে।
ঐ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন এবং সেখানে গৃহনির্মাণ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে সেখানকার পুনর্বাসন পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে তার দেশের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
